এই ছবিটি অজয়নগর অগ্নিবীণা সংঘ এর মাঠ এর। এই ক্লাব সরকারি অনুদান পায় প্রতি বছর। তা সত্বেও এত সুন্দর মাঠটি যা এই এলাকার ফুসফুস তাকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি নির্মাণ কোম্পানি সাঁপুরজি পালোনজি চার বছরের জন্য মাঠ টি লিজ নিয়েছে তার কয়েক শ’ শ্রমিকদের হাটমেন্ট বানানোর জন্য। মাঠ চিরে কংক্রিট এর নির্মাণকাজ চলছে। ফলে এলাকার ছোটদের নিয়মিত খেলাধুলা ,শরীরচর্চা, বার্ষিক ক্রীড়াপ্রতিযোগিতা সবই বন্ধ চার বছরের জন্য।এলাকার মানুষ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছোট ছোট বাচ্চাদের শৈশব হারিয়ে যাওয়া নিয়ে, পাশাপাশি এলাকার পারিবেশের অবনতি র কথা ভেবে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন ক্লাব সদস্য অগণতান্ত্রিকভাবে মানুষের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এলাকার মানুষের আশঙ্কা চার বছর পরেও এই মাঠ পূর্বের অবস্থায় ফিরে পাওয়া যাবে না।
আপডেটঃ
ক্লাবের একটি সূত্র থেকে জানা গেল, চার বছর নয়, দুই বছরের জন্য মাঠটি কোম্পানিটিকে লিজ দেওয়া হয়েছে। এবং এর বিনিময়ে ক্লাব প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা রোজগার করবে। সেই পুঁজিকে ব্যবহার করে ক্লাবটি ভবিষ্যতে স্ব-রোজগারের বন্দোবস্ত করতে পারবে। একসময়ের জলাভূমি বুঁজিয়ে প্রচুর মাটি ফেলে মাঠটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ক্লাবটি স্থানীয় সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য সংগঠক, এমনকি ক্লাবে বেশ কিছু মহিলা সদস্যও রয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে ক্লাবটির এইসব কর্মকাণ্ডে ভাঁটা পরার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায় ক্লাবের সদস্যরা এই কোম্পানির লিজকে একটি সুযোগ বলেই মনে করছে।
ছবি ও রিপোর্ট — বসুন্ধরায় আজাদি।