জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতবর্ষের সংযোগের বিষয়ে যে ধারাটি যুক্ত ছিল ভারতবর্ষের সংবিধানে, তা হল ৩৭০ নম্বর ধারা। সেই ধারাটি নিজেই নিজের সম্পর্কে বলেছিল, অস্থায়ী। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যসভায় ভাষণ দেবার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অস্থায়ী শব্দটির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেছিলেন, আমরা এই অস্থায়ী ধারাটি তুলে দিলাম।
কিন্তু এই ‘অস্থায়ী’ শব্দটির অর্থ কী? কাশ্মীরিদের লেখা ইতিহাস আমাদের শেখায় — আমরা এই অস্থায়ী শব্দটির সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করি। যখন ভারত এবং পাকিস্তান তৈরি হচ্ছে, বৃটিশ চলে যাচ্ছে — সেই সময় কাশ্মীরের রাজা হরি সিং ভারত এবং পাকিস্তান — উভয়ের সাথেই একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন এবং অবশ্যই স্বাধীন থাকতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান রাজি ছিল। কিন্তু ভারত রাজি হয়নি। সেই সময় একটি ‘ইন্সট্রুমেন্ট অব অ্যাক্সেশন’-এ সই করেন হরি সিং। এবং সেই সময় তিনি কিছু ক্ষমতা ভারতবর্ষ-কে দেন। সেই ক্ষমতার কথাই লেখা ছিল ৩৭০ ধারায়, ভারতের সংবিধান-এ। কথা ছিল, যেহেতু রাজা হিন্দু, কিন্তু প্রজাদের আশি শতাংশ মুসলমান, তাই প্রজাদের ইচ্ছা কী, সেটা জানা হবে। সেই পর্ব মিটে গেলেই ৩৭০ ধারা উঠে যাবে। তাই জন্য অস্থায়ী শব্দটার আমদানি। ভারত কাশ্মীরকে কিছু সুবিধা দেয়নি এই ৩৭০ ধারায়। কাশ্মীর ভারতকে কিছু ক্ষমতা দিয়েছিল।
নিচে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা হামিদা নঈম-এর বক্তব্য —