কাস্ট সেনসাস (১): ফিরে দেখা ১৯৩১ সালের জাতভিত্তিক জনগণনা

আমাদের দেশে শেষ জাতভিত্তিক জনগণনা হয় ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের শাসকবর্গের নিয়ন্ত্রাধীনে। সেই সময়ই জাতভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা শুরু হয়েছিল। সেই জাতভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট (১৯৩৩) থেকে জানা যায়, সেই বিরোধিতার আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, জাতভিত্তিক জনগণনা জাত-কে আরো প্রোথিত করবে সমাজে। কিন্তু রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল, এর কারণ সম্ভবতঃ রাজনৈতিক এবং জাত-কে তুলে দেওয়ার কথা বললেও আসলে অন্য উদ্দেশ্য কাজ করেছিল। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছিল, হিন্দুদের মধ্যে কিছু জাত নিজের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাতে চায় নিজেদের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেখানোর জন্য (It is possible also that the desire of certain sects of Hinduism to extend their numbers and influence may have contributed from a sectarian as distinct from the political standpoint)। রিপোর্টে আরো জানা যায়, প্রায় ১৯ লক্ষ লোক মানুষ নিজেদের জাত নেই বলে বলেছিল ১৯৩১ এর জনগণনায়, যার মধ্যে প্রায় ৬১ হাজার ছিল হিন্দু। যারা জাত নেই বলে বলেছিল, তাদের ৯৮ শতাংশ বেঙ্গল প্রভিন্সের। ওই রিপোর্টে আরো দেখা যায়, ১৯১১ এবং ১৯৩১ এর জনগণনার মধ্যে ব্রাহ্মণ জনসংখ্যা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। রিপোর্টে আলাদা করে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে নানা জাত, যারা আগের জাতজনগণনায় অব্রাহ্মণ ছিল, তারা কীভাবে নিজেদের ব্রাহ্মণ বলে দাবি করেছে ১৯৩১ এর জনগণনায়। নিচের ছবিতে রিপোর্টের সংশ্লিষ্ঠ অংশ রইল।

ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছিল, জাতভিত্তিক জনগণনা করা বেশ কঠিন কাজ, কারণ অনেকেই মিথ্যে কথা বলে। বানিয়ে বানিয়ে বলে। ফলে ঠিক কত জাত আছে এবং কী কী, সেটা আগে থেকে ঠিক করে নিয়ে তারপর জিজ্ঞেস না করলে মুশকিল।

জাত এল কীভাবে? এই প্রশ্নেরও উত্তর দেবার চেষ্টা করেছিল ১৯৩১ সালের জনগণনার রিপোর্ট। বলা হয়েছিল, জাতের একটা উৎপত্তি হিসেবে ধরা হয়, মনুর বিধান। এই মত অনুযায়ী, জাত হল স্রষ্ঠার নানা অঙ্গের বর্ণ বা রঙ্গ থেকে তৈরি এবং জাতের মধ্যে বিয়ে, খাবার দাবার এবং পেশা নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকে, যেগুলো না মানলে জাতচ্যুত হতে হয়। দ্বিতীয় একটি মত অনুসারে জাত হল পুরোদস্তুর পেশা থেকে আসা। নেসফিল্ড এবং ডালম্যান এই মতের প্রবক্তা। আরেকটি মতামত হল, নানা ট্রাইবদের নিজস্বতা থেকে আসা জাত। ঈবেটসন মনে করতেন, ট্রাইব, পেশা এবং ধর্মীয় একচেটিয়াগুলি থেকেই জাতের উৎপত্তি এবং তার মধ্যে ট্রাইবের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। আরেকটি মতামতের কথা বলা হয়েছিল, যে পারিবারিক দেবতা থেকে জাতের উৎপত্তি। কিন্তু রিপোর্টেই বলা হয়, পারিবারিক দেবতা থেকে গোত্রতে যত সহজে পৌঁছনো যায়, জাতে যায় না।

১৯৩১ সালের পর আর সফলভাবে জাতভিত্তিক জনগণনা হয়নি। কিন্তু বারবার অনুভূত হয়েছে তার প্রয়োজনীয়তা। পরবর্তীকালে বারবার দেখা যায়, জনজাতিগুলি (caste) এবং উপজাতিগুলি (tribe) ছাড়াও আরো কিছু ‘পশ্চাদপদ’ অংশ আছে। পশ্চাদপদ বলতে, সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া। তাদের চিহ্নিত করতে চেয়ে স্বাধীনতার পর তৈরি হয় কালেলকর কমিশন (১৯৫৩)। যদিও ২৩৯৯ টি ‘পশ্চাদপদ’ জাতের কথা তুলে ধরেছিল এই কমিশন তার রিপোর্টে (১৯৫৩), যার মধ্যে ৮৩৭ টি ‘সবচেয়ে পশ্চাদপদ’, কিন্তু কমিশনের রিপোর্ট সর্বসম্মত ছিল না। কিন্তু এই কমিশনের কতগুলি সুপারিশ ছিল খুবই উল্লেখযোগ্য, যেমন, ক) সমস্ত মহিলাদের ‘পশ্চাদপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করা। খ) সামাজিক পশ্চাদপদতাকে হিন্দু সমাজের ঐতিহ্যবাহী জাত-থাকবন্দীর নিচের দিকে থাকার সঙ্গে যুক্ত করা। গ) উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পশ্চাদপদ অংশের জন্য ৭০ শতাংশ সংরক্ষণ। এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ ছিল — ঘ) ১৯৬১ সালের জনগণনায় জাত-কে যুক্ত করা।

কিন্তু কালেলকর কমিশন তার রিপোর্ট স্বাধীনভাবে এই সামাজিক পশ্চাদপদ অংশকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়। কালেলকর কমিশন কিছু মাপকাঠি চিহ্নিত করে, কিন্তু সেই মাপকাঠিতে মাপার কোনও স্বাধীন বন্দোবস্ত বার করতে পারেনি। তার মাপকাঠিগুলি ছিল : অস্পৃশ্যতা (শিডিউল কাস্ট হিসেবে চিহ্নিত ছিল); যে সমস্ত উপজাতি বা ট্রাইবরা হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মের মূল স্রোতে ঢুকে যায়নি (শিডিউল ট্রাইব হিসেবে চিহ্নিত ছিল); যারা অবহেলার কারণে নানা অপরাধমূলক কাজে ঢুকে পড়ত; যাযাবর, যারা খেলা দেখানো নাচ বা ভিক্ষার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করত; যেসব কৌমগুলি মূলতঃ কৃষি ও ভূমিহীন কৃষিমজুরি করত; যেসব কৌমগুলির জমির দখলিস্বত্ব ছিল না; যেসব কৌমগুলি মূলতঃ ছোটো ও পতিত জমির মালিক; যেসব কৌমগুলি ছোটো মাত্রার গোপালন, মেষপালন এবং মাছ ধরায় যুক্ত; যেসব কৌমগুলির ঐতিহ্যবাহী পেশা এখন আর খুব প্রচলিত নয়; যেসব কৌমের শিক্ষা অপর্যাপ্ত, তাই সরকারি চাকরিতে খুব কম তাদের পাওয়া যায়; যেসব কৌম সামাজিক থাকবন্দীতে নিচের দিকে; এবং মুসলিম, খ্রীষ্টান ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যারা সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া কৌম।

বলাই বাহুল্য, যেহেতু এই মাপকাঠিগুলিতে কারা পড়বে না পড়বে, তা নির্ণয় করতে গেলে জাতভিত্তিক জনগণনা প্রয়োজন, সেই কারণেই কালেলকর কমিশন ১৯৬১ সালের জনগণনায় যাতে জাত-কে যুক্ত করা হয়, তার সুপারিশ করেছিল। যাই হোক, জহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার কালেলকার কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করেনি।

এরপর প্রায় প্রতিটি রাজ্যে প্রচুর পশ্চাদপদ বর্গ কমিশন তৈরি হয়, এবং তারা রাজ্যওয়াড়ি তালিকা তৈরির চেষ্টা করে পশ্চাদপদ বর্গের। কেন্দ্রীয়ভাবে দ্বিতীয় কমিশন তৈরি হয় ১৯৭৯ সালে যখন স্বাধীন ভারতে প্রথমবারের জন্য জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের বদলে সমাজবাদী শক্তিগুলির জোট জনতা দল ক্ষমতায় আসে। এবং এই মণ্ডল কমিশন বলে খ্যাত কমিশন তার সর্বসম্মত রিপোর্ট পেশ করে ১৯৮০ সালে। তখন ফের কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে গেছে, এবং রিপোর্টটি চেপে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয় এবং বাস্তবায়ন করা হয় ১৯৯০ সালে ফের যখন জনতা দলের সরকার ক্ষমতায় আসে। মণ্ডল কমিশনের হাতেও কোনও সাম্প্রতিক জাত-জনগণনার রিপোর্ট ছিল না। ফলে মণ্ডল কমিশন ১৯৩১ সালের জাতভিত্তিক জনগণনার রিপোর্টকেই সম্বল করেছিল। ওই জাতভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট ভিত্তি করে তারা বলে, ভারতে পশ্চাদপদ বর্গ ৫২ শতাংশ। এবং তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার ও সরকারি চাকরির ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ। যদিও আমরা আগের আলোচনাতেই দেখেছি, কীভাবে অন্যান্য বর্গগুলি নিজেদের ব্রাহ্মণ বলে দাবি করে ব্রাহ্মণ তথা উঁচুজাতের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৩১ সালের জনগণনায়। জনগণনার রিপোর্ট পড়লে মনে হয়, নিজেদের সংখ্যা তথা প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে দেখানোর উদ্দেশ্যে এই কান্ডগুলি ঘটাতো জাতগুলি। কিন্তু বাস্তবে কী? তাদের মধ্যে কি আন্তঃবিবাহ সম্পন্ন হত? ১৯৩১ সালের জাতভিত্তিক জনগণনার রিপোর্টে ইঙ্গিত আছে, যারা নিজেদের জাত গোপন করে অন্য জাতের অংশ বলছে জনগণনায়, খুঁজে দেখো তো ওদের ওই অন্য জাতের সঙ্গে উন্মুক্ত বৈবাহিক সম্পর্ক আছে কি না? ১৯৩১ সালের জনগণনার রিপোর্ট বলছে, সামান্য কিছু আছে এবং এগুলি তুলনায় নতুন। জাতভিত্তিক জনগণনার রিপোর্টে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, হিন্দু ধর্মের মধ্যেই একটা মনোভঙ্গী তৈরি হয়েছে, যে, চার বর্ণই (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, ও শূদ্র) যথেষ্ট, আর ভাঙার দরকার নেই। কিন্তু এই চার বর্ণ ধরে জাত গণনা করা খুব মুশকিল। কারণ, ১৯৩১ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, যারা নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করে তারা একইসাথে নিজেদের ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় বলে দাবি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ইউনাইটেড প্রভিন্সের চামার জাতের লোকেরা [আগের জনগণনা অনুসারে] তাদের নামের একটা অংশ বাদ দিয়ে দিয়েছে এবং এই জনগণনায় তারা নিজেদের জাত নিয়ে বলেছে যে তারা সূর্য বা চন্দ্র বংশীয় রাজপুত। “যদিও তাতে করে তাদের প্রতিবেশীদের [ক্ষত্রিয়দের] তাদের প্রতি ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন হয়নি” (This, of course, does not imply any correspondingly respctful treatment of them by their neighbours.)।

আধুনিকতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কি জাত দূর হয়? ১৯৩১ সালের জাতভিত্তিক জনগণনায় উল্লেখ আছে, না। হয় না। বলা আছে, রেল বাস ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবার সঙ্গে সঙ্গে হয়ত অস্পৃশ্যতা কমেছে, কিন্তু এর মাধ্যমে দূরে দূরে থাকা একই জাতের লোকের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগও বেড়েছে এবং তা হচ্ছেও, যা আগে হওয়া দুষ্কর ছিল। ১৯৩১ সালের জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী জাতের সবচেয়ে বড়ো কষ্টিপাথর, বৈবাহিক সম্পর্ক।

প্রসঙ্গতঃ, এখন শুরু হয়েছে উল্টোযাত্রা। হিন্দু ধর্মের থাকবন্দীতে উঁচুতে ওঠার কোনও চেষ্টা নয়, এখন দেশের নানা জায়গা থেকে দাবি উঠছে, হিন্দু ধর্মের থাকবন্দীতে থাকা জনগোষ্ঠীকে ট্রাইব বা উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। সম্প্রতি মণিপুরে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়ে গেছে এই নিয়ে, যার আগুন এখনও নেভেনি। মণিপুরে উপত্যকায় থাকা মৈতেয়ী সম্প্রদায়, যারা অত্যন্ত বাহ্যিকভাবেই হিন্দু বৈষ্ণব — তারা চায় শিডিউল ট্রাইব স্ট্যাটাস, যাতে তারা উপত্যকা ঘিরে থাকা পাহাড়ি অঞ্চলে জমি কিনতে পারে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গও গত কয়েক বছর ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, জঙ্গলমহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্মি মাহাতোরা (এমনিতে ওবিসি তালিকাভুক্ত) জনআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দাবি করছে, তাদের শিডিউল ট্রাইব স্ট্যাটাস দিতে হবে, সম্ভবতঃ সরকারি চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধা আরও ভালোভাবে পাওয়ার জন্য। জানতে ইচ্ছে হয়, আশু জনগণনায় মৈতেয়ী বা কুর্মিরা কি তাদের ধর্মীয় পরিচয় হিসেবে ‘হিন্দু’ বলবে? ঝাড়খণ্ডে যেমন আদিবাসীরা জানিয়ে দিয়েছে, বলবে না, সারনা ধর্ম তাদের, সেটাই তারা বলবে।

পশ্চিমবঙ্গে জাতকে আঁকড়ে ধরার রেওয়াজ নেই, বরং এখানে ‘জাতপাত মানিনা’ বলার লোকই বেশি। সেই কবে লালন সাই [১৭৭২ – ১৮৯০] গেয়েছিলেন, ‘লালন কয় সে জাতের কীরূপ দেখলাম না এই নজরে’। ১৯৩১ সালের জনগণনায় যারা জাত নেই বলেছিল, তাদের ৯৮ শতাংশ বেঙ্গল প্রভিন্সের। ১৯৪১ সালের জনগণনায় শ্যামাপ্রসাদের হিন্দু মহাসভার আহ্বানে বাংলার হিন্দু থাকবন্দীর নিচের দিকে থাকা এক বিপুল সংখ্যক মানুষ নিজেদের পরিচয় দেয় ‘হিন্দু, কিন্তু জাত নেই’ বলে। ফলে ওই জনগণনায় এই ‘নিচু’জাতের জনসংখ্যা আগের জনগণনাগুলির তুলনায় অনেক কমে যায় (১৯২১ এ প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ, ১৯৩১ এ প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ, ১৯৪১ এ প্রায় ৭৪ লক্ষ)। উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের জনগণনায় কেবলমাত্র শিডিউল কাস্ট ও ট্রাইব জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যেকার জাতগুলির গণনা করা হয়েছিল। হিন্দু ও মুসলিম, কোনও ধর্মের আর কোনও জাতের গণনা করা হয়নি, কিন্তু ধর্ম গণনা করা হয়েছিল। ১৯৪১ সালের জনগণনার রিপোর্টে উল্লেখ আছে, ১৯৩১ সালের মতোই এই জনগণনাটিও রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল। তবে ১৯৩১ সালের জনগণনা যেমন বয়কট ইত্যাদির মাধ্যমে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, ১৯৪১ সালের জনগণনা তেমনি অতিউৎসাহের শিকার হয়েছিল।

স্বাধীনতার পরের দশকগুলিতে পূর্ব ও উত্তরভারতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যখন দলিত, বহুজন, সমাজবাদী ও সমতাবাদী দলগুলি মাথা চাড়া দিচ্ছে জাতবৈষম্য দূর করার প্রশ্নকে সামনে রেখে, পশ্চিমবঙ্গে তখন বামপন্থা মাথা চাড়া দিচ্ছে কৃষক শ্রমিক প্রভৃতি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ বর্গের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে সামনে রেখে। আজও জাতভিত্তিক জনগণনা নিয়ে বাংলা তুলনায় নীরব। (চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *