ধনীতম ০.১ শতাংশ-র সম্পত্তির আংশিক পুনর্বন্টন : কীভাবে সম্ভব এবং তা করা হলে কী কী হতে পারে?

না, সম্পত্তি পুনর্বন্টনের জন্য সচ্ছল মধ্যবিত্ত তো নয়ই, এমনকি ধনীদের (দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ধনীতর ১% ব্যক্তি, কিন্তু যারা অতিধনী বা ভীষণ-ধনী বা বেশ-ধনী নয়) সম্পত্তিতেও হাত দেওয়ার দরকারই নেই। শুধু অতিধনী, ভীষণ-ধনী ও বেশ-ধনীদের সম্পত্তির যথাক্রমে অর্ধেক, সিকিভাগ ও দশমাংশ আদায় করলেই দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের জন্য নিঃশুল্ক পুষ্টি, পাকা বাসা, স্কুল শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ, গণপরিবহন, এবং টেলিযোগাযোগ — এগুলি সম্ভব।

যোশীমঠের বিপর্যয় : বড়ো প্রকল্পগুলির লগ্নীতেই পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা নীতির দাবি

এইসব বিপর্যয় বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেয় কোন নির্বোধের মতো উন্নয়নের মডেল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা দেশীয় সংস্থা আর সরকারের প্রত্যক্ষ আর্থিক মদতে। ভবিষ্যতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানোর নাম করে দেশি বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলো এই ধরনের বিপর্যয় ভাঙিয়েও মুনাফা না লোটে।

করোনা ও অর্থনীতি : করতে পারি, কিন্তু কেন করব

আমাদের প্রস্তাব কখনোই অর্থনীতির ভালোর দিক ভেবে হতে পারে না। বরং আমাদের ভাবা উচিত ব্যক্তি শ্রমিক/বেকারের স্বার্থ। যে ব্যক্তি শ্রমিক/বেকার আমি নিজেও। ব্যক্তি শ্রমিক/বেকারের স্বার্থের চেয়ে পৃথক স্বার্থ আমাদের থাকা উচিত না। আমরা কীভাবে এই বিপদের মোলাকাৎ ও মোকাবিলা করছি, সেই অভিজ্ঞতাই তৈরি করবে করোনা-উত্তর আমাদের এখানকার উত্তর-পুঁজিবাদে পদার্পনের পন্থা।

লকডাউন : উপসাগরে তেলের রিগের ক্যাটারিং ডিভিশনে কাজ করা ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিকের নিজের কথা

দিশাহারা ভাবে পেশা বদলাতে বদলাতে হাজির হওয়া মুম্বাই শহরে। জাহাজে চাকরি করবো। বাংলার রানাঘাট নদীয়া অঞ্চলে খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন, দালাল চক্রের হাতে বহু মানুষেরই টাকা পয়সা খোয়া গেছে এই জাহাজে চাকরির আশায়। জাহাজে চাকরি আশা ছেড়ে জয়েন করলাম অফশোর-এ। অফশোর শব্দ টা কি জানতাম না আমি ও প্রথমে। গোদা বাংলা করলে ‘শোর’ অর্থ সমুদ্র সৈকত, অফশোর মানে সমুদ্রের মাঝখানে কাজ।

করোনা ও সুরাতের হীরের গয়না

হিসেবটা এরকম, ন্যুনতম পরিযায়ী শ্রমিক দিয়ে ১২ ঘন্টা খাটিয়ে বিল্ডিং-গুলো বানিয়ে নেওয়া। পালিশ কাটিং আপাততঃ বন্ধ থাক। হীরে বুর্জোয়ারা, দেশে যাতে আর কাঁচা হীরে না ঢোকে পালিশের জন্য, তার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে তদ্বির করে ফেলেছে। আর স্টিমুলাসের দাবিও করা হয়ে গেছে, এই বারো ঘন্টা খাটানো হচ্ছে যাদের জোর করে ধরে রেখে, তাদের মাইনে বাবদ।

মন্দায় অসমতার অনর্থ : দুটি

মন্দায় শুধু কর্পোরেট তোষণ? ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীরা ব্রাত্য? কর্পোরেট আর তার কর্মচারীদের স্বার্থ কি এক? ছাঁটাই হওয়া বা হতে চলা কর্মচারীদের কি কিছু ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার? ক্ষতিপূরণ হিসেবে? অন্ততঃ মাসে হাজার ছ’য়েক?