‘জাস্টিস-ফর-আরজিকর’ জনজাগরণের প্রেক্ষাপটে নানা সংলাপ (৪)

জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারের প্রাত্যাহিক কাজকর্মের লাইভ স্ট্রিমিং চাননি। তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যে বৈঠক হবে, তার লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছেন। কারণ, সাধারণতঃ দেখা যায়, এইরকম মিটিং শেষে সরকারের প্রতিনিধিরা বলে দেন, আলোচনা সদর্থক হয়েছে, সব মিটে গেছে।… যে সমস্ত প্রতিনিধিরা ভেতরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করতে গেলেন, তারা সেখানে কী বললেন, সেই নিয়ে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয় আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সরকারের তরফ থেকেও চেষ্টা থাকে, ভেতরে কি কথা হয়েছে তা নিয়ে মিথ্যে কথা প্রচার করে আন্দোলনকারী এবং তাদের প্রতিনিধিদের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি করতে। অনেক সময় প্রতিনিধিদের কিনেও নেয় সরকার। ফলে সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক আজকের প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইভস্ট্রিমিং করার দাবি মোটেও অন্যায্য নয়।

‘জাস্টিস-ফর-আরজিকর’ জনজাগরণের প্রেক্ষাপটে নানা সংলাপ (৩)

আন্দোলনে মেয়েদের স্বর এই মর্মান্তিক ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে যৌনহিংসা হিসেবে দেখে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বর এটিকে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্নীতিগ্রস্ত ক্ষমতাসীনদের তরফে দমন ও প্রতিশোধমূলক হিংসা হিসেবে দেখে। জাস্টিসের দাবির ভিন্ন অর্থ এই দেখার ভিন্নতা থেকে উঠে আসা। তবে, সরকার এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা — এই বিষয়ে তারা এক জায়গায়। সর্বোপরি একটা তীব্র আবেগ এই দুই স্বর-কে মিলিয়ে দেয় — “অভয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই”।

ফিল্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থা : তদন্ত রিপোর্ট চেপে দিয়ে আভ্যন্তরীন অভিযোগ কমিটিটাই তুলে দিলো প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৬ মার্চ ২০১৭@ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি যৌন হেনস্থার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসি বা আভ্যন্তরীন অভিযোগ কমিটির তৈরি করা তদন্ত রিপোর্ট-এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডাকা গভর্নিং কাউন্সিল মিটিং-এ খোদ আইসিসি টাকেই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার একটি কেন্দ্রীয় সরকারি ফিল্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে!! ঘটনাটিকে সমর্থন করে অভিযোগকারীদের “দিকভ্রষ্ট খামখেয়ালী মেয়ে” অভিধা দিলেন […]