মণিপুরের মিডিয়া পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে জাতিদাঙ্গার দিনগুলিতে — বলল এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট

একজন সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে বলেন, “প্রথমদিকে ইম্ফলের বয়ানগুলি ছিল এরকম — দাঙ্গাটা শুরু করেছে আত্মসমর্পণ করা কুকি জঙ্গীরা যাদের সঙ্গে কেন্দ্র সরকার শান্তি-চুক্তি করেছে। তারপর তারা বলল, দাঙ্গার জন্য দায়ী মায়ানমার সীমান্ত জুড়ে কুকি এলাকায় ড্রাগ কার্টেলগুলি এবং আফিম-চাষিরা। তারপর হঠাৎ তারা বলতে শুরু করল, হিংসার জন্য দায়ী মায়ানমার থেকে বন্দুক নিয়ে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা যারা বনাঞ্চলগুলিতে বাসা বানাতে শুরু করেছে। তারপর তারা এর একটা নাম দিল — নার্কো-টেররিজম।”

মণিপুরে দুর্ভাগ্যজনক জাতিদাঙ্গা ও তার প্রেক্ষাপট : নথিভিত্তিক কালপঞ্জী (৩১ আগস্ট ২০১৫ – ৪ মে ২০২৩)

উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য জায়গার মতোই মণিপুর রাজ্য-র খবর যেহেতু নিয়মিত এখানকার সংবাদমাধ্যমে বা জাতীয় সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয় না, বা কেন্দ্রীয় ক্ষমতার রাজনীতির তরজার অঙ্গ হিসেবে প্রকাশিত হয়, তাই মণিপুরের চলমান জাতিহিংসাকে মিডিয়ায় দেখা এবং দেখানো হচ্ছে “চীন বনাম ভারত”, “বিজেপি বনাম কংগ্রেস”, “হিন্দু বনাম খ্রীষ্টান” ইত্যাদি দ্বৈত দিয়ে। এগুলি সবই মাটির ঘটনাকে এরোপ্লেন থেকে দেখে বর্ণনা করলে যেমন লাগে, তেমনই হাস্যকর। তবে কি মণিপুরের এই জাতিহিংসায় কোনও দ্বৈত নেই? সম্ভবতঃ আছে।