করোনা অতিমারি মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা নির্ভর একটি ইতিবাচক খসড়া প্রস্তাব — সকলের বিবেচনার জন্য

আমরা এই পয়েন্টগুলি বিবেচনায় আনার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, সরকারি সংস্থা, অসরকারি সংস্থা, গণসংগঠন এবং ব্যাপকতর জনগণ-কে আহ্বান করছি। এই বিষয়গুলিতে যে কোনো বিতর্ক এবং আলোচনার-ও আহ্বান রাখছি। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে মানুষের প্রয়াসের মাধ্যমে এই রোগকে কব্জা করে ফেলা সম্ভব।

করোনা ও টিকা : টিকাভাঙা সংক্রমণ অতিমারিকে দীর্ঘায়িত করছে কি? — এই প্রশ্নটির আলোচনা সযত্নে এড়িয়ে যাচ্ছে গবেষণাপত্রগুলি

ধরে নেওয়া হল — ছোঁয়াচে ও শক্তিশালী রূপভেদ তৈরি হবে কেবলমাত্র সংক্রমণ চলতে থাকলে — এই সরলরৈখিক সম্পর্ক; ফলে প্রাথমিকভাবে সংক্রমণ কমানোই লক্ষ্য — তা হলেই রূপভেদ তৈরি আটকাবে। আর পাবলিককে বলা হল, টিকা নিলে সংক্রমণের সম্ভবনা কমবে, সংক্রমিত হলেও গুরুতর অসুস্থ হবার সম্ভবনা বা মৃত্যুর সম্ভবনা কমবে। ফলে মিডিয়ার মাধ্যমে জনপরিসরে টিকা এল নিজেকে বা নিজেদের বাঁচানোর একটা উপায় হিসেবে, ব্যক্তিগত করোনা-প্রতিষেধক হিসেবে। মানুষ এই ব্যক্তিগত করোনা-প্রতিষেধক হিসেবে প্রচুর হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদিক বড়ি খাচ্ছিল, ভিটামিন বা মিনারেল ট্যাবলেট খাচ্ছিল। টিকা এল সেরকমই একটা কিন্তু অনেক বেশি কার্যকরী একটা ইঞ্জেকশন হিসেবে। কে না জানে, ওষুধে-এ কাজ না দিলে ইঞ্জেকশন নিতে হয়!

একটি অতিমারি (?), টিকা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য

টিকা ওষুধ নয় যা অসুস্থ মানুষকে সারিয়ে তোলার জন্য দেওয়া হয়, টিকা সুস্থ মানুষকে দেওয়া হয় দ্রুত হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য। যদি সাধারণ ভাবে হার্ড ইমিউনিটি থেকেই থাকে তবে নানা তথ্য-ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি এতগুলি টিকাকে এমনকি গাইডলাইন বদলেও ছাড়পত্র কেন দেওয়া হল?

আমাদের দেশে করোনার গণ টীকার কি কোনো প্রয়োজন আছে?

করোনার আতঙ্ক টিঁকে থাকা ভারতবর্ষের পুঁজিপতিদের এবং মন্দাবিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে বিপাকে পড়া মোদি সরকারের আজ সবিশেষ প্রয়োজন। ভ্যাক্সিন্যাশনালিজমের সমালোচনার আড়াল থেকে গোঁফে তা দিচ্ছে ভ্যাক্সিক্যাপিটালিজম।