পঞ্চাদ্রী কর্মকারের রিপোর্ট, ছবি, ভিডিও, ২৯ জানুয়ারি
দীনেশনগর আর সোনালী পার্কের জনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে গেছে ১৩২ কেভি ওভারহেড হাই টেনশন লাইন। যেখানে প্রায় ২৫ -৩০ বছর ধরে মানুষ বাস করছে কোন শারীরিক সমস্যা ছাড়াই।
২৬ শে জানুয়ারি পূর্ব পুঁটিয়ারি ও বাঁশদ্রোণীর পিছন দিকে সোনালি পার্ক আর দীনেশ নগর-এ গিয়ে হাই টেনশন লাইনের নিকটবর্তী স্থানে মানুষজনের সাথে কথা বললাম। ১৩২ kv লাইনের আশেপাশে, এমনকি তলাতেও কেউ কেউ বাড়ি করে আছে অনেক বছর ধরে। হাই টেনশন লাইন এখানে যখন বসানো হয়, তখন এখানে এত ঘনবসতি ছিল না। কিন্তু পরে আস্তে আস্তে এখানে বসতি গড়ে ওঠে। জমির দাম এখানে কম। অনেকেই দোতলা তুলতে পারবে না, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন আইনে আটকে যাবে। কিন্তু কোন শারীরিক বা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর কু-প্রভাব তাদের চোখে পড়েনি। মাঝেমাঝে দপ্তর থেকে এসে তার পালটে যায়।
নিচের ভিডিওতে ইনি সরস্বতী ঠাকুর রঙ করার কাজ করছেন নিজের বাড়িতে, যে বাড়িটি এক্কেবারে হাই টেনশন লাইনের নিচে (সোনালী পার্ক। ওপরের ছবি দ্রষ্টব্য)।
ওপরের ভিডিওটি দীনেশ নগর এলাকার। এই দীনেশ নগর অঞ্চলে যখন হাই টেনশন লাইন যায় তখন ছিল নীচু জলা জমি। তারপর ধীরে ধীরে বসতি গড়ে ওঠে। আজকে সেইখানকার কিছু ছেলে বলছিল আমরা অনেক ঘটনার সম্মুখীণ হয়েছি, যেমন রাস্তায় টিউব লাইট লাগালেই জলে ওঠে। রাতে কখনো কখনো এমনই আওয়াজ হয় যে ঘুমানো যায়না। কয়েক বছর আগে একটি বাচ্চা তামার তার দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে শক খেয়ে মারা যায়। কিছুদিন আগে একটা পাগল টাওয়ারে উঠে পড়ে শক খেয়ে মারা যায়। তবে এই অসুবিধা গুলো ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী কোনো শারীরীক অসুবিধার কথা কেউ বলেনি। তারা এও বলল, আমাদের মাথার উপর দিয়ে যাওয়া লাইনের থেকে আমরা কোন বিদ্যুৎ পাইনা, কিন্তু আমাদের খুবই সতর্ক হয়ে থাকতে হয়। এরা কেউই চাষের কাজের সংগে যুক্ত নয়।