নিজস্ব প্রতিবেদন#
বীরভূম জেলার লবপুর থানা এলাকার দ্বারকা গ্রামে ময়ূরাক্ষী নদীর বাঁধ সারাই ও সম্প্রসারণের কারণে চারশ’ গাছ কাটা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষ একটা কমিটি তৈরি করে এর বিরোধিতা করছে। এই গ্রামে রয়েছে ঐতিহ্যশালী শিব মন্দির ও ময়ুরাক্ষী নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। কিন্তু দু-হাজার সালের বন্যায় বাঁধ ভাঙার ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগের কারণ হয়ত ময়ুরাক্ষী নদীর ওপর সুন্দীপুরে ব্যারেজ নির্মাণ।
গ্রামবাসীদের কমিটির বাধায় প্রথমে গাছ কাটা বন্ধ হয়। তারপর অঞ্চলের প্রধান, উপপ্রধান, ইঞ্জিনিয়ার, কনট্রাকটার সবাইকে জানানো হয়, কিন্তু গাছ কাটার দায় কেউ স্বীকার করেনি। পরে জানা যায়, গাছ কাটার সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক স্তরের, অর্থাৎ বিডিও, এসডিও, বনদপ্তর এবং এমএলএ ও এমপি-র সম্মতিতে হচ্ছে। যদিও এই সম্মতি প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা দেখতে পায়নি। তারা চাইলেও দেখানো হয়নি।
আপাততঃ তিরিশ শতাংশ মতো গাছ কাটা হয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে মৌখিক আশ্বাস মিলেছে, বাঁধের কাজ সমাপ্ত হলে গাছ লাগানো হবে। অপ্রয়োজনে গাছ না কাটা এবং গাছ কাটার আগে গাছ লাগানো ও বাঁধের কাজ শেষ হলে দুই হাজার গাছ লাগানোর কথা বলে চলেছে স্থানীয় মানুষ।
